এই মুহূর্তে শ্রীময়ী সিরিয়াল এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে , ছোট বড় সকলেই ভালোবেসে ফেলেছেন শ্রীময়ী চরিত্রে অভিনয় করা ইন্দ্রানী হালদার কে।
সিরিয়াল টি শুরু হয় ২০১৯ এর ১০ জুন। এখানে প্রায় সকলের অভিনয় ই স্বতঃস্ফূর্ত , তবে যার অভিনয় এর প্রশংসা না করলেই নয় , তিনি হলেন স্বয়ং শ্ৰীময়ী, তবে শ্রীময়ী এর ছোট ছেলের চরিত্রে অভিনয় করা সপ্তর্ষি মৌলিক ও ছোট বড়ো সকলের মন জয় করে নিয়েছে। গল্পের কাহিনী শ্রীময়ী এর সাংসারিক জীবন কে ঘিরেই। সাংসারিক জীবন নিয়ে এরম এক কাহিনী বাংলার মহিলা দের মন জয় করে নেবে তাই ই কাম্য।
গল্পের শুরু থেকেই দেখা যাই , শ্রীময়ী এক ছাপোষা স্বল্প শিক্ষিত গৃহবধূ , যে তার সংসার ওরফে তার শশুড়বাড়ির সকলের জন্য ,তার তিন ছেলেমেয়ে এবং তার স্বামী এর জন্য মুখ বুজে সব কাজ করে গেলেও , দিনের শেষে তার কপালে জোটে শুধুই বঞ্চনা। এত কিছুর পরেও শ্রীময়ীর মনে ছিল তার সংসার এর সকলের জন্য অপার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা. সে তার পরিবারের থেকে প্রাপ্তি এই লান্ছনা কেই তাদের ভালোবাসা প্রকাশের ধরণ ভেবে নিয়ে মনে মনে সুখেই ছিল।তার এই কল্পনাময় সুখের সংসারে বাধা হয়ে আসে তার স্বামীর অফিস কলিগ জুন গুহ এর উপস্থিতি। হটাৎ সে জানতে পারে তার ২৫ বছর সংসার করা স্বামী অন্য এক মহিলা ,জুনের সাথে বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কে লিপ্ত। পায়ের তোলার মাটি সরে যায় এক মুহূর্তে তার।
ধীরে ধীরে নানা ঘটনায় তার কাছে সবকিছু জলের মতো পরিষ্কার হয়, এবং সে বুঝতে পারে আদতে তার এই কম শিক্ষা, গৃহবধূ হয়ে জীবনের ২৫ তা বছর কাটিয়ে দেয়াই তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল. অবশেষে আসে সেই দিন ,শ্রীময়ী এবং অনিন্দ্য এর ডিভোর্স।

এরপরেই আমূল পরিবর্তন ঘটে শ্রীময়ীর মানসিকতা।
ইতিমধ্যে , অনিন্দ্য ও তার ছোট মেয়ে দিথি ,জুনের বাড়িতে থাকা শুরু করলে তারা দুজনেই উপলব্ধি করে শ্রীময়ীর প্রয়জোনীয়তা. জুন উচ্চ শিক্ষিত হলেও তার উদ্ধত ব্যবহার , এমনকি যে দিথি কোনোদিন রান্নাঘরে যায়নি , তাকে দিয়ে রান্না করানো থেকে শুরু করে তার গায়ে হাত তোলা ,এইসব ব্যবহারে অনিন্দ্য বেশ মতোই বুঝে গেছে জুন এর আজ অবধি শুধুই ভালো দিক তা অনিন্দ্য দেখেছে, তার চরিত্রের বিস্তৃত খারাপ দিক টা অনিন্দ্য র কাছে অজানাই থেকে যেত,যদি না তারা একসাথে থাকা শুরু করতো .
নানা ঘটনার মধ্যে দিয়ে অনিন্দ্য পুনরায় তার বান্ধবী জুন কে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে ফিরে এলে সে জানতে পারে এই বাড়ি তার বাবা শ্রীময়ী কে লিখে দিয়েছে, এবং আদতে তারা শ্রীময়ী র আশ্রিত। যে শ্রীময়ী কে সে চিনতো,এ একেবারেই অন্য শ্রীময়ী। আকাশ পাতাল তফাৎ তার স্ত্রী শ্রীময়ী এবং বর্তমানের তার ওৱাক্তন স্ত্রী শ্রীময়ীর। তার মেয়ে দিথি জানতে পারে নিজের মা কে।
একের পর এক ঘটনায় অনিন্দ্য বুঝতে পারে জুনের মতো স্বার্থপর মানুষের সাথে সংসার করা যায়না , অপরদিকে, চিনতে পারে শ্রীময়ী কে, আর বোঝে কত বড়ো সম্পদ সে হেলায় হারিয়েছে। শ্রীময়ীর দৃঢ় অথচ নম্র মানসিকতা ,কঠোর আদর্শের সামনে উদ্ধত জুন কিছুই নয়।
পারতপক্ষে , বলা যায় , শুধুই শ্রীময়ীর মানসিক পরিবর্তন নয়, জুন এর সাথে থেকে তাকে খুব কাছ থেকে চিনতে পারাও অনিন্দ্য আর জুন এর সম্পর্কের অবনতির মুখ্য কারণ।