ছেঁড়া গদিতে শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন নয়, বরং স্বপ্ন দেখলেই তবে একদিন বাস্তবটা ছোঁয়া
জি বাংলার ‘আমার দুর্গা’ ধারাবাহিকের কথা মনে আছে? সেই ধারাবাহিকে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেও দর্শকদের মন জিতে নিয়েছিলেন সঞ্চারী দাস। মাঝে একটা ব্রেক। আবারও পর্দায় ফিরছেন তিনি। তবে এ বার একেবারে প্রধান চরিত্রে।সেখানেই মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে।সান বাংলায় গত ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক ‘সর্বমঙ্গলা’। সেখানেই মুখ্য চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে।
নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা একটি মেয়ে। সে সুগন্ধ ভালবাসে। ধূপের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। তা থেকে আয় নেহাতই সামান্য। বাড়িতে অসুস্থ বাবা। মেয়েটির উপর এসে পড়ে সংসারের চাপ। প্রতিকূলতাকে সঙ্গে নিয়েই জীবনসংগ্রামে অংশ নেয় সে। কিন্তু লড়াই বড়ই কঠিন। কী ভাবে সামাল দেয় সেই মেয়েটি? সে সব নিয়েই এই ধারাবাহিক।
অভাবের সংসারে এক সময় বসতবাড়িটি বন্ধক রেখে দেয় তার বোন এক মহাজনের কাছে, এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে। সর্বমঙ্গলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে শহরে আসে এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে যে সে ধূপ বিক্রি করে এক লক্ষ টাকা জোগাড় করে আনবে একদিন এবং বাড়িটি উদ্ধার করবে।
সেই স্বপ্ন নিয়েই একদিন গ্রামের এই মেয়েটি ধূপকাঠি ফেরি শুরু করে। সেই দোকান থেকে যা উপার্জন হয় তা দিয়েই তার অসুস্থ বাবার চিকিৎসা চলে। একটা মেয়ে যখন এভাবে দোকান শুরু করে তখন বাকিরা কথা শোনাতে ছাড়ে না।
সর্বমঙ্গলার সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে অনীশ এবং উপায় না দেখে শহরে তার নিজের বাড়িতেই আশ্রয় দেয় সর্বমঙ্গলাকে।অনীশ শহরের এক শিল্পপতির ছেলে। সেখান থেকেই শুরু হয় নতুন ক্রাইসিস। কোনও সম্পর্ক ছাড়াই কী করে একটি মেয়ে আশ্রয় নিতে পারে অনীশের বাড়িতে সেই প্রশ্ন ওঠে। ঝামেলা এড়াতে সর্বমঙ্গলাকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে ফেলে অনীশ। তার পরে প্রশ্ন ওঠে শাঁখা-সিঁদুর ইত্যাদি নিয়ে।
এমন একটা পরিস্থিতি সামাল দিতেই নিছক স্ট্র্যাটেজি হিসেবে অনীশ সিঁদুর পরিয়ে দেয় সর্বমঙ্গলার সিঁথিতে। অনীশের কাছে এটি নিছকই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার অস্ত্র, সর্বমঙ্গলার কাছে কিন্তু তা নয়। গ্রামের মেয়ে সর্বমঙ্গলার কাছে সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেওয়ার অর্থ আসলে বিয়েই।
আবার অনীশের পরিবারের বেশিরভাগ মানুষের কাছেও কিন্তু এই বিয়ে নকল নয়। তাই এবার এই নকল বিয়ের মিথ্যেকে ঢাকতে আসল বিয়ের আয়োজন শুরু হল বলে। কিন্তু অনীশ কি আদৌ বিয়ের জন্য প্রস্তুত? একটি মেয়ের বিপদের দিনে তার পাশে দাঁড়ানো আর তাকে বিয়ে করার মধ্যে অনেক তফাৎ।এই প্রশ্নের উত্তর পেতে দেখতে থাকুন সান বাংলায় ঠিক রাট ৯ টায়।