বাংলা সিনেমা জগতের একজন সফল ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় ।তিন দশকের বেশি সময় ধরে তিনি বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং দুই দশকব্যাপী তার বাণিজ্যিক সাফল্যকে ধরে রাখেন। অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের নদী থেকে সাগরে (১৯৭৮) ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তীর বিপরীতে তিনি প্রথম বার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যিক সাফল্য অর্জন করে।
বাংলা সিনেমা জগতের একজন সফল ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় ।তিন দশকের বেশি সময় ধরে তিনি বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং দুই দশকব্যাপী তার বাণিজ্যিক সাফল্যকে ধরে রাখেন। অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের নদী থেকে সাগরে (১৯৭৮) ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তীর বিপরীতে তিনি প্রথম বার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যিক সাফল্য অর্জন করে।
১৯৮২ সালে, গৌতম মুখোপাধ্যায়ের বাংলা ছবি ‘ ত্রয়ী ‘-র বিপুল বাণিজ্যিক সাফল্যের ফলে দেবশ্রী রায় টালিগঞ্জের প্রথম সারিতে উঠে আসেন। আশির দশকের মধ্যভাগ থেকে নব্বই দশকের মধ্যভাগ পর্যন্ত বাণিজ্যিক বাংলা ছবির সর্বপ্রধান অভিনেত্রী ছিলেন তিনি।তিনি একশোরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং পেয়েছেন চল্লিশের বেশি পুরস্কার , রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ও আছে তার অভিনয় দক্ষতার ঝুলিতে ।কিন্তু একটা সময় পর বাংলা সিনেমার জগৎ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন দেবশ্রী রায় । বলা যায় তিনি একরকম পর্দার আড়ালেই চলে গিয়েছিলেন ।
কিন্তু এখানেই রয়েছে তার ভক্ত , তার সমর্থকদের জন্য সুসংবাদ – ফের তিনি ফিরছেন অভিনয় জগতে আর সঙ্গে নিয়ে আসছেন একটা বড়সড় ধামাকা । আবার তাকে দেখা যাবে সিনেমার পর্দায় । দীর্ঘদিন পর টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কামব্যাক করছেন তিনি – ‘ তুমি কি সেই ? ‘ সিনামার হাত ধরে । অসমবয়সী প্রেমের কাহিনী নিয়ে তৈরি এই সিনেমা । এখানে দেবশ্রী রায়ের বিপরীতে দেখা যাবে নতুন প্রজন্মের অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে । এই ছবির নেপথ্যে গল্পটা কি সে বিষয়ে পরিষ্কার করে বলতে চাননি অভিনেত্রী দেবশ্রী রায় ।
এতদিন কেন অভিনয় জগৎ থেকে দূরে ছিলেন এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী জানান যে পছন্দের চরিত্র তেমন পাননি তিনি এতদিন। তাই সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন অভিনয় থেকে। কিন্তু এই ছবির চিত্রনাট্য শুনে না করতে পারেননি তিনি। দেবশ্রীর রায় আরো জানান- “এই চরিত্রটা আমার মধ্যে অভিনয়ের ক্ষুধা আবারও জাগিয়ে তুলেছে। এজন্য গল্পটা শুনেই রাজি হয়ে গিয়েছি।” দেবশ্রী রায় ও বনি সেনগুপ্ত অভিনীত এই ছবিটির পরিচালনা করছেন অনুপ সেনগুপ্ত।