চাঞ্চল্যকর এক খবরে শোরগোল পরে গিয়েছে দেশ জুড়ে। জানা গিয়েছে ভারতের জনসংখ্যার অর্ধেক অংশ অর্থাৎ প্রায় ৬৫ কোটি মানুষ এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই করোনা আক্রান্ত হবেন। কি শুনে বিশ্বাস হচ্ছে না তো! কিন্তু এটাই সত্যি বলে জানালেন কর্ণাটকের নোডাল হেল্থ টাস্ক ফোর্সের আধিকারিক ভি রবি।
তিনি জানিয়েছেন যেভাবে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে তাতে খুব কম সময়ের মধ্যেই ভারতের ৫০শতাংশ জনগোষ্ঠী এই মারন রোগের কবলে পড়বেন। আর সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো তাদের মধ্যে থাকা ৯০ শতাংশ মানুষ হবেন উপসর্গ বিহীন।ওই আধিকারিক জানিয়েছেন যেভাবে লকডাউন শিথিল করে সবকিছু খোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে তাতেই এই মারন রোগের প্রাদূর্ভাব আরো বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী, জন পরিবহন, রেল, বিমান চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুমতি দেওয়া হয়েছে ধর্মীয় স্থান, শপিং মল, রেস্টুরেন্ট খোলারও। সব পরিষেবা চালু হয়ে গেলে তা পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ ভিড় করবেন আর সেখান থেকেই গোষ্ঠী সংক্রমন ছড়াতে পারে বলে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন।
একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন ভারতবাসীরা এখনো করোনার ভয়াল রূপের মুখোমুখি হয়নি। তাদের কোনো আন্দাজই নেই দেশ ধীরে ধীরে কোন বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। এমনিতেই দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ নমুনা পরীক্ষার অভাবে আক্রান্তের সংখ্যা আসল সংখ্যার নিরিখে অনেক কম দেখাচ্ছে। এরপরে যদি লকডাউন খুলে যায় তাহলে তা আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।তবে সবচেয়ে ভয়ের বিষয়টি হল আক্রান্তের ৯০% এরই কোনো উপসর্গ না থাকায় তারা নীরব ঘাতকের মতো এই সংক্রমণ কে আরো ছড়িয়ে দেবেন সুস্থ মানুষদের মধ্যে। এভাবেই ভারতের জনসংখ্যার অর্ধেক করোনা আক্রান্ত হবেন।তিনি আরো বলেছেন এই পরিস্থিতিতে ভয় পেলে চলবেনা। মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে সব রাজ্যকে। বাড়াতে হবে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা। তিনি আরো স্পষ্ট করেছেন, ভবিষ্যতে এই করোনার সাথে হাত ধরাধরি করেই আমাদের চলতে হবে কাজেই সতর্ক থাকতে হবে প্রশাসন কে, সচেতন হতে হবে মানুষ কে।